Adsence

রবিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৫

কৃত্রিম চুল লাগানো নিষেধ

ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্নিত। যে ব্যক্তি চুল জোড়া লাগায় আর যে এ কাজে সাহায্য করে এবং যে উলকি আঁকে এবং যে আঁকায় তাদের ওপর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) অভিশাপ করেছেন। (সহীহ মুসলিম)

আসমা বিনতে আবু বকর (রাঃ) থেকে বর্নিত। এক মহিলা নবী (সাঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলল, আমি আমার মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। তার মাথার চুল পড়ে গেছে। অথচ তার স্বামী চুল খুবই পছন্দ করে। ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি কি তার মাথায় কৃত্রিম চুল লাগিয়ে দেব? তিনি এরুপ করতে নিষেধ করলেন। (সহীহ মুসলিম)

পুরুষদের রেশমী কাপড় পড়া এবং সোনা রুপার পাত্রে আহার করা

আব্দুল্লাহ ইবনে উকাইম (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, আমরা মাদায়েনে হুযাইফার (রাঃ) সাথে ছিলাম। তিনি পানি চাইলেন। এক গ্রামীন লোক রুপার পাত্রে পানি নিয়ে আসল। তিনি তা পাত্র সহ ফেলে দিলেন এবং বললেন, আমি তোমাদের বলে দিচ্ছি যে, আমি তাকে বলেছিলাম এ পাত্রে পানি এনোনা। কেননা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, সোনা রুপার পাত্রে পান করো না এবং রেশমী কাপড় পরিধান করো না। (মুসলিম)


খেজুর এবং কিশমিশ একত্রে মিশিয়ে খাওয়া নিষেধ

১) আতা বলেন। আমি জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) কে বলতে শুনেছি। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ তোমরা নাবীয তৈরী করার জন্য পাকা ও কাচা খেজুর একত্রিত করে এবং কিশমিশ ও খোরমা একত্রিত করে ভিজাবে না। (মুসলিম)

২) আবু সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আমাদেরকে কিশমিশ ও খোরমা এবং কাচা ও শুকনো খেজুরকে একত্রে মিশিয়ে ভিজাতে নিষেধ করেছেন। (মুসলিম)

৩) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কিশমিশ ও খোরমা, কাচা খেজুর ও খোরমা একত্রে মিশ্রিত করে ভিজাতে নিষেধ করেছেন। তবে এর প্রত্যেকটিকে পৃথক পৃথকভাবে ভিজানোর অনুমতি দিয়েছেন। (মুসলিম)



বৃহস্পতিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৫

অহংকার গর্ব

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্নিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ যার অন্তরে অনু পরিমান গর্ব অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। এক ব্যাক্তি বললঃ কোনো ব্যক্তি এটাই পছন্দ করে যে তার পোষাক সুন্দর হোক এবং জুতা জোড়াও সুন্দর হোক (তাও কি অহংকার)। তিনি বললেনঃ আল্লাহ সুন্দর এবং তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন, পকৃতপক্ষে অহংকার হচ্ছে, সত্য ও ন্যায়কে উক্ষেপন করা এবং মানুষকে তুচ্ছ মনে করা। (সহীহ মুসলিম)

নেতৃত্বের হকদার

আবু সাঈদ খুদরী থেকে বর্নিত। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: ইমামত বা নেতৃত্বের সবচাইতে বেশী হকদার সেই ব্যক্তি যে সবচেয়ে বেশী কুরআন মজীদ অধ্যয়ন করেছে। (সহীহ মুসলিম) 

সোমবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৫

অত্যাচারী শাসক জাহান্নামী

হাসান বসরী থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, মা'কাল ইবনে ইয়াসার আল-মুযানী (রাঃ) যে রোগে ইন্তেকাল করেন, সে সময় উবাইদুল্লাহ ইবনে যিয়াদ তাকে দেখতে গেলো। মা'কাল (রাঃ) বললেন, আমি তোমাকে এমন একটি হাদীস শুনাবো যা আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি। কিন্ত যদি আমি জানতে পারতাম যে, আমি আরো কিছুদিন জীবিত থাকবো, তাহলে আজও আমি তোমাকে তা বর্ননা করতাম না। আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি, যদি কোনো বান্দাহকে আল্লাহ জনগনের শাসক নিযুক্ত করেন, আর সে তাদের অধিকার হরন করে এবং খেয়ানতকারী হিসাবে মৃত্যুবরন করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন। (সহীহ মুসলিম)