Adsence

মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০১৩

ইতিকাফ এর ফযীলত


১)   হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজানের শেষ দশ দিন ই’তিকাফ করতেন। (বুখারী ও মুসলিম)
২) হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে ওফাত দান করার আগ পর্যন্ত তিনি রমজান মাসের শেষ দশ দিন ই’তিকাফ করতেন। তারপর তার মৃত্যুর পরে তার পবিত্র স্ত্রীগন ই’তিকাফ করতেন। (বুখারী ও মুসলিম)

৩) হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতি রমজান মাসে শেষ দশ দিন ই’তিকাফ করতেন। তারপর যখন সেই বছরটি এলো যে বছর তিনি ইন্তেকাল করেন, সে বছর তিনি বিশ দিন ই’তিকাফ করেন। (বুখারী)

রোজাদারকে ইফতার করানো


হযরত যাইদ ইবনে খালিদ আল জুহানী (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ননা করেন যে, যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করায় সে তার সমান প্রতিদান পায়। কিন্তু এর ফলে রোজাদারের প্রতিদানের মধ্যে কোনো কম হবে না। (তিরমিযী) ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান ও সহীহ। 

সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখার গুরুত্ব


১)   হযরত আবু কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সোমবারের রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জবাবে বললেন এ দিন আমি জন্মগ্রহন করেছি, এ দিন আমার ওপর নবুয়াতের দায়িত্ব অর্পন করা হয়েছে অথবা একথা বলেছেন এ দিন আমার ওপর ওহী নাযিল করা হয়েছে। (মুসলিম)
২)   হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ননা করেন যে, তিনি বলেছেন সোমবার ও বৃহস্পতিবার আমল পেশ করা হয়। অতএব আমি পছন্দ করি যে, আমার আমল এমন অবস্থায় পেশ করা হোক যে, আমি রোজা রেখেছি। (তিরমিযী)

৩)    হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সোমবার ও বৃহস্পতিবারের রোজার প্রাধান্য দিতেন। (তিরমিযী)

শাওয়াল মাসে ছয় রোজা



হযরত আবু আইউব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখলো তারপর পরপরই শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখলো সে পুরো বছর রোজা রাখার সমতুল্য হবে। (মুসলিম)

রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৩

সাহরী করা

১।  হযরত  আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সাহরী খাও কারন সাহরীর মধ্যে বরকত আছে। (বুখারী ও মুসলিম) 

২।   হযরত  আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমাদের রোজা ও আহলে কিতাবের রোজার মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে সাহরী খাওয়া। (মুসলিম)

৩।     হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মুয়াজ্জিন ছিলো দুজন, হযরত বিলাল ও ইবনে উম্মে মাকতুম (রাঃ) । রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, বিলাল রাতে আযান দেয় । অতএব তার আযানের পর পানাহার করতে থাকো যতক্ষন না উম্মে মাকতুম আযান দেয় । (ইবনে উমর) বলেন, তাদের দুজনের আযানের মাঝখানে পার্থক্য ছিলো এতটুকু যে, একজন অবতরন করতেন এবং অপরজন আরোহন করতেন। (বুখারী ও মুসলিম)  

রোজাদার


১ । হযরত আবু হোরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন কোনো দিন রোজা রাখে , তখন সে অশ্লীল কথা বলবে না এবং ঝগড়া ঝাটি করবে না। যদি কেউ তাকে গালি দেয় অথবা কেউ তার সাথে মারামারি করে তাহলে তার বলা উচিৎ , আমি রোজাদার। (বুখারী ও মুসলিম) 

২।  হযরত আবু হোরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,  যে ব্যক্তি রোজা রাখার পরও মিথ্যা কথা বলা ও খারাপ কাজ করা থেকে বিরত থাকে না তার পানাহার ত্যাগ করায় আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই। (বুখারী ও মুসলিম)