যখন তোমাদের কারো মৃত্যু নিকটবর্তী মনে হয় এবং সে যদি
কোনো সম্পদ রেখে যায়, তাহলে বৈধভাবে তার পিতামাতা ও আত্মীয় স্বজনের জন্যে ওসিয়তের ব্যাবস্থা
রয়েছে, এটা আল্লাহ ভীরুদের জন্য অবশ্যকরনীয়। যারা ওসিয়ত শোনার পর তা পরিবর্তন করে;
এর গুনাহ তাদের ওপরই বর্তাবে। আল্লাহ সব কিছুই শোনেন এবং জানেন।তবে কেউ যদি ওসিয়তকারীর পক্ষ থেকে (ইচ্ছাকৃত বা
অনিচ্ছাকৃত) পক্ষপাতিত্ব বা অন্যায়ের আশংকা করে এবং সে কারণে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর
মধ্যে এসলাহ (সমঝোতা ও মীমাংসা) করে দেয়, তাতে তার কোনো পাপ হবেনা। নিশ্চয়ই আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল পরম
করুণাময়। (সূরা আল বাকারাঃ ১৮০-১৮২)
১) হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন "কোনো পুরুষ বা নারী জীবনের ষাট বছর পর্যন্ত আল্লাহর আনুগত্যে অতিবাহিত করেও যদি মৃত্যু কালে ওসিয়তের মাধ্যমে উত্তরাধিকারীদের ক্ষতি সাধন করে যায় তাহলে তাদের জন্য জাহান্নামের আগুন ওয়াজিব হয়ে যায়।" (মুসনাদে আহমদ)
২)
হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন "যে ব্যক্তি
উত্তরাধীকার থেকে কোনো উত্তরাধীকারীকে বঞ্চিত করবে শেষ বিচারের দিন আল্লাহ সে
ব্যক্তিকে জান্নাতের উত্তরাধীকার থেকে বঞ্চিত করবেন।" (ইবনে মাজা)
৩)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন "কোনো উত্তরাধীকারীর ব্যাপারে কোনো ব্যক্তির ওসিয়ত
কার্যকর হবে না যদি অন্যান্য উত্তরাধীকারীগন তাতে সম্মত না হয়।" (মিশকাত)
৪)
সা'দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাঃ) বর্ণনা
করেছেন। আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাকে দেখতে এলেন। তিনি জিজ্ঞেস
করলেন, "তুমি কি ওসিয়ত করেছ?" আমি বললাম "হ্যাঁ করেছি"। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন "কি পরিমান ওসিয়ত করেছ?" আমি বললাম "আমার সব ধন সম্পদ আল্লাহর
জন্য ওসিয়ত করেছি।" তিনি বললেন "তোমার সন্তান সন্ততির জন্য
কি রেখেছো?" আমি বললাম
"তারা বেশ ধনী।" রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন "তোমার সম্পদের দশ ভাগের
এক ভাগ ওসিয়ত করো।" আমি বলতে থাকলাম "আরেকটু বাড়িয়ে দিন।" অবশেষে তিনি বললেন
"তিন ভাগের এক ভাগ ওসিয়ত করো, তিন
ভাগের এক ভাগই যথেষ্ট।" (তিরমিযী)