Adsence

সোমবার, ১৩ মে, ২০১৩

অন্যায় কাজের প্রতিরোধ করার গুরুত্ব

১) হযরত হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "সেই মহান আল্লাহর শপথ যার হাতে আমার প্রান, নিশ্চই তোমরা ভালো কাজের নির্দেশ দিবে এবং অবশ্যই অন্যায় ও খারাপ কাজ নিষেধ করবে, অন্যথায় আল্লাহ তার নিজের পক্ষ হতে তোমাদের উপর কঠিন আযাব পাঠাবেন। অতঃপর তোমাদের একেবারেই পরিত্যাগ করা হবে এবং তখন তোমাদের কোনো দোয়াও কবুল করা হবে না।" (তিরমিযী)


২) হযরত যারীর ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, "আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, যে জাতির মধ্যে কোনো ব্যক্তি খারাপ কাজ করতে থাকে, সেই জাতির লোকেরা তার খারাপ কাজ করার পথ বন্ধ করে দিতে সমর্থ হওয়া সত্বেও যদি তারা না করে তবে আল্লাহ নিশ্চিত রুপে তাদের মৃত্যুর পূর্বে তাদের উপর কঠিন বিপদ চাপিয়ে দিবেন। (আবু দাউদ)



৩)  রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহর শপথ, হয় তোমরা অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে ন্যায় কাজ প্রতিষ্ঠা করবে এবং অন্যায় ও পাপকাজ থেকে লোকদের বিরত রাখবে এবং যালিমের হাত ধরে তার যুলুম বন্ধ করে দিবে ও তাকে অন্যায় পথ থেকে ফিরিয়ে সত্যের পথে পরিচালিত করবে, তাকে একমাত্র সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত করে দিবে অন্যথায় আল্লাহ তোমাদের পরস্পরের মনকে পরস্পরের সংঘাতে পাপ জর্জরিত করে দিবেন এবং শেষ পর্যন্ত পূর্বকালের পাপীদের মত তোমাদের উপরও অভিশাপ নাযিল করবেন। (আবু দাউদ) 


৪) হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা:) কে বলতে শুনেছি, তোমাদের কেও যখন কোনো অন্যায় কাজ (খারাপ কাজ) হতে দেখে সে অবশ্যই তা হাত দিয়ে (বল প্রয়োগে )বাধা দিবে (স্তব্ধ করে দিবে ) । যদি সে এ ক্ষমতা না রাখে তবে সে মুখের (কথার) দ্বারা তা বন্ধ করে দিবে (বাধা দিবে) । যদি সে এ ক্ষমতাটুকুও না রাখে তবে সে অন্তরের দ্বারা এর প্রতি ঘৃনা পোষন করবে।আর এটাই হচ্ছে ঈমানের দূর্বলতম স্তর।  (মুসলিম)


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন